সোনাপুর-চৌমুহনী চারলেন সড়কের কাজের ধীরগতিতে ভোগান্তির প্রতিবাদে মানবন্ধন
নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা পর্যন্ত চারলেন সড়কের কাজের ধীরগতিতে দূর্ভোগ নেমেছে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং জনসাধরণের জীবনে। এনিয়ে সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারের লুকোচুরির কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনসাধারণ মানববন্ধন করেছে। নোয়াখালী নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ না হলে সড়ক ভবন ঘেরাও সহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে প্রধান সড়কে রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের-স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পরিবহনের চালক-শ্রমিক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক জামাল হোসেন বিষাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক এ্যডভোকেট কাউসার নিয়াজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর নান্টু, এ্যডভোকেট আজিজুল হক বকশি, এডাবের সভাপতি আবদুল আউয়াল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ কাইয়ুম, সংগঠক ওয়াজেদ মহান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সোনাপুর থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় ১৩শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিতব্য চারলেন সড়কের দুপাশে ভূমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রকল্প গ্রহণের প্রায় ৫ বছর সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু সড়কের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি। ফলে বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে কাদামাটি আর অন্য সময়ে ধুলাবালি, খননের ফলে সৃষ্ট খানা খন্দকে চরম দুর্ভোগে নাকাল হতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে সাড়ে চার বছর পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। এখনো সড়কের কাজ শেষ হয়নি। কাজে ধীরগতির কারণে শহরের বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানান বক্তারা।
অনেক জায়গায় রাস্তা নির্মাণে বিদ্যুতের খুঁটি, গ্যাস ও পানির পাইপলাইন অপসারণ করা হয়নি। এছাড়া বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট, অনিয়মে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন বক্তরা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে চারলেন সড়কের কাজ সমাপ্ত না হলে সড়ক ভবন ঘেরাও, জেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহে স্মারকলিপি প্রয়োজনে অবরোধ -অনশনের ডাক দেয়া হবে বলেও জানান তারা।
এদিকে চারলেন সড়কের কাজের তাঁর দপ্তরের গাফেলতির বিষয়টি অস্বীকার করে ভূমি অধিগ্রহণের বিলম্বকে দুষেছেন নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহাদ উল্যাহ। তিনি বলেন- কাজে কোনো ধীরগতি নেই, কাজ চলছে। তাঁরা নভেম্বরে কাজ বুঝে পেয়েছেন এখন চলছে মে মাস। তিনি আশা করেন আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।