শোক দিবসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ : ছবি ভাইরাল

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ পাহারায় তালাবদ্ধ অফিসের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তালা দেওয়া ব্যাক্তি আওয়ামী লীগ করার অধিকার রাখেনা উল্লেখ করে দলীয় সভানেত্রীর কাছে তাঁর বিচারের দাবি জানান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা বক্তব্যের ভিডিওটিও ভাইরাল হয়।

এনিয়ে বিভিন্নজনের পাশাপাশি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরেণ্য সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর একটি প্রতিক্রিয়ার স্ক্রীনশর্টও ঘুরছে বিভিন্ন আইডিতে। তিনি এজন্য বিস্ময় প্রকাশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে খোদ শোক দিবসেই এই বহিঃপ্রকাশ ঘটায় নেতাকর্মীদের মাঝেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে এসব মন্তব্য।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও শহিদ উল্যা খান সোহেল নিজ নিজ পরিসরে শোক দিবসের কর্মসূচী পালন করে। 

দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিার অভিযোগ তোলেন এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ফেরার পথে জেলা আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে ক্তব্যকালে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলা আলীগ সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।

শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, ১৫ আগস্ট শোকের দিন। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার আছে জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃর্তিতে মাল্যদান করার। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অধিকার কারও নাই।

বক্তব্য দানকালে শাহীন বলেন, তাঁরা শোক র‌্যালি নিয়ে বের পর সোস্যাল মিডিয়াসহ কয়েকটি মিডিয়াতে চলে আসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা। তাৎক্ষণিক আমি দেখেছি, আমাদের কয়েকজন নেতা ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে আমরা আসার এক মিনিট আগে তালা খুলে দিয়েছে। অর্থাৎ আমি যখন এটা আপনাদের (মিডিয়া) সামনে উপস্থাপন করবো, সেই জন্য তিনারা এটা বলেছেন।

তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবসে কেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা? এই বিচার আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দিলাম। আমরা জানতে চাই কে এই লোক? এখন আর তার আমাদের দল করার দরকার নাই।

তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে ঈংগিত করে বলেন- তিনি (একরাম) দলীয় সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে অবান্তর কথা বলেছেন। সর্বশেষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং আমাদের মাতৃতুল্য প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। 

এনিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বক্তব্য এসেছে গণমাধ্যমে।

সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন তালা ঝুলবে ? তিনি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেছেন। জেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি। তবে; তিনি শিহাব উদ্দিন শাহীনের বক্তব্যের আলোকে কোন মন্তব্য করেননি।

অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম বলেছেন- অফিস বন্ধ করে ছেলেরা মসজিদে মসজিদে শোক দিবসের জিলাপী বিতরণ করতে গেছে। কিছুক্ষণ পরই অফিস আবার খোলা হয়েছে।

মন্তব্য লিখুন :