করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে নোবিপ্রবির দুই শিক্ষকের সাফল্য
শিক্ষকদের সহযাত্রী যখন শিক্ষার্থী
-5ea50fe591ad4.jpg)
ডেস্ক রিপোর্ট-
নিজস্ব ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল ব্যবহার করেই করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের কিট তৈরিতে সাফল্য পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃতি শিক্ষক এপ্ল্যায়েড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ। নোয়াখালীর এই দুই কৃতি সন্তানের এমন সাফলে নোবিপ্রবির মতো একই সাথে জেলাবাবাসীও গর্বিত। ড. ফিরোজ আহমেদ একইসাথে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ড. বিজন শীলের নেতৃত্বাধীন গবেষণা দলেরও অন্যতম সদস্য।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্টের জন্য নোবিপ্রবির দুই কৃতি শিক্ষক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও ড. ফিরোজ আহমেদ এর নেতৃত্বে তৈরীকৃত গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল বিদেশ থেকে আনতে গেলে ১ মিলিলিটারের জন্য খরছ হতো ৫০০ ডলার। অথচ সেটি সাশ্রয়ীভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরবরাহ করা গেছে। নিজস্ব ল্যাব এবং কেমিক্যাল ব্যাবহার করে তৈরীকৃত এই কিট এবং গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলের কনজুগেট ব্যবহার করেই তারা কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্ট করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। দুই শিক্ষকের এই কাজে সহযাত্রী ছিলেন তাঁদের দুই শিক্ষার্থী।
নোবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্ল্যায়েড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে এক গবেষণায় অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও ড. ফিরোজ আহমেদ গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল করোনা শনাক্তকরণের কিট তৈরি করতে সক্ষম হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের যন্ত্রাপাতি এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করেই তারা গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করেন। এ কাজে তাদের সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্ল্যায়েড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইদুল ইসলাম এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আমিনুল ইসলাম।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ কিট হস্তান্তর করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট 'জিআর কভিড-১৯ ডট ব্লট' হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ কালের বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আমরা যে গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করেছি কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্টের জন্য তা বিদেশ থেকে আনতে গেলে ১ মিলিলিটারের জন্য ৫০০ ডলার খরচ হতো। সেখানে আমরা সাশ্রয়ীভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরবরাহ করতে পেরেছি। নোবিপ্রবির জন্য এটি অনেক বড় অর্জন। আশা করি সামনে আরো গবেষণা হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করব প্রধানমন্ত্রীকে সামনে আরো নতুন কিছু উপহার দিতে।
এপ্ল্যায়েড কেমেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, গত আটদিন আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ড. ফিরোজ আহমেদ এবং ড. বিজন কুমার শীল আমাকে ফোন দিয়ে বললেন তারা একটি বিশেষ ধরণের ন্যানো পার্টিকেল চান যার সাইজ হবে ১৫-২০ ন্যানোমিটার, ওয়েল ডিসকাসড এবং সার্ফেস স্পেসিফিক গ্রুপ থাকতে হবে। তখন আমি তাদেরকে বললাম এটা আমি এটা করে দিতে পারব। আমি পিএইচডি করার সময় এরকম কাজ করেছি। ঠিক সেইভাবে আমি আমার মাস্টার্সের (থিসিস) ছাত্রদের নিয়ে আমি আমাদের ল্যাবের যন্ত্রাপাতি এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করে সফলভাবে গত সপ্তাহে আমরা কিট হস্তান্তর করি এবং আমাদের গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলের কনজুগেট ব্যবহার করেই তারা কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্ট করেছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্টের জন্য নোবিপ্রবির দুই কৃতি শিক্ষক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও ড. ফিরোজ আহমেদ এর নেতৃত্বে তৈরীকৃত গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল বিদেশ থেকে আনতে গেলে ১ মিলিলিটারের জন্য খরছ হতো ৫০০ ডলার। অথচ সেটি সাশ্রয়ীভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরবরাহ করা গেছে। নিজস্ব ল্যাব এবং কেমিক্যাল ব্যাবহার করে তৈরীকৃত এই কিট এবং গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলের কনজুগেট ব্যবহার করেই তারা কভিড-১৯ এর র্যাপিড টেস্ট করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
তথ্য সূত্র- দৈনিক কালের কন্ঠ।