কোয়ান্টাম’র সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত

কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ’র নিয়মিত সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ আগস্ট শনিবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাদাকায়নে আলোচনার বিষয় ছিল "বরকাতানের বাণী পৌঁছে দিন চারপাশে ৪০ ঘরে "  অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন শাখার দায়িত্বশীল এমদাদ উল্লাহ ভূঁইয়া।

আলোচনার শুরুতে আলোচক পরমকরুণাময়ের নিকট শুকরিয়া আদায় করে আলোচক বলেন- সুখী হওয়ার, পরিতৃপ্তির সাথে জীবনযাপন করার, সুস্বাস্থ্য দীর্ঘ জীবন লাভের এক চিরায়ত কল্যাণ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার সাথে আমরা সম্পৃক্ত হতে পেরেছি মেডিটেশন দানের মাধ্যমে। আমরা যারা নিয়মিত দান করেছি তাদের জীবনে প্রশান্তি বেড়েছে, সংঘবদ্ধভাবে সৎকর্ম করার তৃপ্তি আমরা উপভোগ করতে পারছি।

সুখী হওয়ার মোক্ষম পথ হচ্ছে অন্যের জন্যে ভাবতে পারা।  সমাজে সেই মানুষগুলোই বিষণ্ণতা হতাশার শিকার যারা শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে। এই আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তার চিন্তার জগৎটাকে সংকীর্ণ করে দেয়।  যে-কোনো প্রতিকূলতায় এরা দ্রুত ভেঙে পড়ে। দীর্ঘ গবেষনায় দেখা গেছে- মানুষ হিসেবে যারা সমমর্মী দয়ালু তারা নিজেদের জীবন নিয়ে অধিকতর পরিতৃপ্ত।  শারীরিক-মানসিকভাবেও তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুস্থ। আমরা সুখী হতে চাই। এজন্যে মানুষের কল্যানে কিছুটা অবদান রাখতে চাই। পৃথিবীতে বড় মাপের মানুষেরা শুধু নিজের জন্যে ভাবেন নি।

প্রসঙ্গে তিনি খলিফা ওমর (রা) এবং মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার জীবন থেকে দু'টি উদারণ পেশ করেন। আর নবীজী () মানুষের দুর্দশা মোচনকেএতেকাফের চেয়েও বেশি সওয়াবের বলে উল্লেখ করেছেন। এই কাজটিই আমরা করতে চাই। আমরা আমাদের চারপাশে ৪০ ঘরের মানুষের কাছে এই  বরকাতানের বা দানের বাণী পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের এই দানে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের হাজার হাজার শিশুরা কী চমৎকারভাবে বেড়ে উঠছে। গত তিন বছর ধরে টানা তারা ক্রীড়ানৈপুণ্যে দেশ সেরা প্রতিষ্ঠান হয়েছে।

 আপনাদের জেনে আরো ভালো লাগবে গত জুন মাসে ১৬তম সিঙ্গাপুর ওপেন জিমনেস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯ বাংলাদেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মোট নয় জিমনেস্ট। তাদের ছয় জনই কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।  প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল ২৫টি পদক অর্জন করে। যার ২১টিই  লাভ করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। আমরা আরো শিশুর দায়িত্ব নিতে চাই।  জন্যে আমাদেরকে আরো বেশি দান করতে হবে। অন্যদেরকে দানে উৎসাহিত করতে হবে। তাহলেই গড়ে উঠবে এক মানবিক মহা-সমাজ।  পরিশেষে আমরা যেন মনটাকে বড় করে দুহাত ভরে দান করতে পারি। সাথে সাথে চারপাশের মানুষদের দানে উৎসাহিত করতে পারি এই আশা রেখে আলোচক আলোচনা শেষ করেন। কারণ দেয়ার মধ্যে যে আনন্দ, তা অতুলনীয়।

অনুষ্ঠানটি  অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আমেরিকার ৫টি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট ৬টি দেশের অর্ধশতাধিক অতিথি প্রোগ্রামটিতে অংশ গ্রহণ করেন। আগামী ১০ আগস্ট '১৯ সকাল ১০টায়  ৮৬-৪৭ ১৬৪ স্ট্রিট, সুইট # বি , ফোন: ৫১৬ ৭৬১ ১৬১৪ জ্যামাইকা কোয়ান্টাম লার্নিং সেন্টার হল সোসাইটির নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন পরবর্তী সাদাকায়নে আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আগামী সপ্তাহে থাকছে  কেন জ্ঞানী হতে হবে, জ্ঞান অর্জন কতটা গুরুত্ব পূর্ণ তা  নিয়ে বিশেষ আলোচনা "জ্ঞান অর্জনে যে-কোনো কষ্টকে আমি হাসি মুখে গ্রহণ করব "


মন্তব্য লিখুন :