কুইবেকে কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশনের বনভোজন

প্রবাসের যাপিত জীবনে পরস্পরের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের অন্যতম উপলক্ষ হচ্ছে বনভোজন। ছুটির সময় বিশেষত গ্রীস্মকালীন সময়ে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে বাঙালী অধ্যুষিত প্রদেশ, শহর থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লাগুলোতে প্রবাসীদের সংগঠনগুলো আয়োজন করে থাকে বনভোজনের। সংগঠনগুলোর নিয়মিত সদস্য ছাড়াও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সদস্যদেও নিমন্ত্রন থাকে এসব আয়োজনে। 

কানাডার কুইবেক প্রদেশে বসবাসরত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রবাসীদের সংগঠন কোম্পানীগঞ্জ মডেল এসোসিয়েশন সেন্ট-জোটিক (ঝধরহঃ-তড়ঃরয়ঁব )পার্কে আয়োজন করে বনভোজন-২০১৯। প্রায় অর্ধশত পরিবার ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদেও অংশগ্রহণে রোববার অনুষ্ঠিত বনভোজন পরিণত হয় বাৎসরিক মিলন মেলায়। শিশু-কিশোরদের খেলা, বড়দের (নারী-পুরুষ) ক্রীড়া অনুষ্ঠান, র‌্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী এবং খাবারের পর্বগুলো ছিলো উপভোগ্য।

কোম্পানীগঞ্জ মডেল এসোসিয়েশন কুইবেক, কানাডার সভাপতি হাজী ইদ্রিস এবং সাধারণ সম্পাদক নুরনবী রশিদসহ সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্যদেও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় বনভোজনের অংশগ্রহণকারী ও অতিথিদের মাঝেও আনন্দ যোগায়। 

বনভোজনে আমন্ত্রিত অতিথিদেও একজন কুইবেকের নোয়াখালী সমিতির অন্যতম কর্মকর্তা চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা হায়াত খান ফরহাদেও মতে- প্রবাসে ব্যাস্ততার মাঝে নিজ এলাকার মানুষদেও সাথে মিলিত হওয়ার অনন্য সুযোগ তৈরী কওে বনভোজন। একসময় কুইবেকে অল্পকিছু পরিবারের বসবাস ছিলো। ক্রমেই কমিউনিটির আয়তন বাড়ছে। নোয়াখালীর মানুষগুলোও নিজেদেও মাঝে একাতাবদ্ধ হয় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে। কোম্পানীগঞ্জ মডেল এসোসিয়েশন কোম্পানীগঞ্জ উজেলাবাসীর জন্য এধরণেরই আয়োজন করেছে। 

কোম্পানীগঞ্জ মডেল এসোসিয়েশন, কুইবেক’র সাধারণ সম্পাদক নুরনবী রশিদ জানান- সংগঠনের বয়স এখন ২২ বছর। ১৯৯৭ সালের দিকে কুইবেকে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখার মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণে একাতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্যই। প্রতিবছর নিয়মিত সাধারণ সভা আয়োজন, সাংগঠনিক সভা, বনভোজনসহ নানা আয়োজনে মিলিত হয় কুইবেকে বসবাসরত কোম্পানীগঞ্জের প্রায় অর্ধশত পরিবার। অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি, একইসাথে আয়োজন ত্রুটির জন্য দায় মাথা পেতে নেন।

তিনি জানান, সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। প্রয়াতদের মরদেহ স্থানীয়ভাবে সমাহিত করতে কিংবা দেশে মরদেহ পাঠানোর ক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে সহায়তা করা হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয় সাংগঠনিকভাবে।


মন্তব্য লিখুন :