কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএ’র দশ বছর পূর্তি উদযাপন

নানা আয়োজনে কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ'র দশ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ২৬ অক্টোবর শনিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাস্থ কার্যালয়ে সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা অবধি অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ওয়ার্কশপ। এছাড়াও সোসাইটির দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে "সাফল্য ও শুকরিয়ায়  কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ এর ১০বছর"  শীর্ষক  দিনব্যাপী ওয়ার্কশপটি কোয়ান্টাম গ্র্যাজুয়েট, প্রোমাষ্টার, এসোসিয়েটদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা, বিভিন্ন তথ্যচিত্র প্রদর্শন, অভিজ্ঞতা বিনিময় আর মেডিটেশনে হয়ে উঠে প্রাণবন্ত এবং আনন্দময়।  আমেরিকার সাতটি অঙ্গরাজ্য, কানাডাসহ মোট ৬টি দেশের অর্ধশতাধিক অংশগ্রহণকারী অনসাইট ও অনলাইনে এই ওয়ার্কশপে সামিল ছিলেন।

ইউ এস এ মেডিটেশন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ ইউসুফের সঞ্চালনায় পরম করুণাময় স্রষ্টার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপনের মাধ্যমে ওয়ার্কশপের সূচনা হয়। সেই সাথে যারা এই কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির অভিযাত্রায় নিজেদের মেধা, শ্রম , সময় দিয়েছেন একটি দিনের জন্যেও, তাদের সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

এরপর ব্যর্থতার দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে এসে  সাফল্যকে  নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় ডাঃ আব্দুল্লাহ ইউসুফ বলেন- যে নেতিবাচক চিন্তা নিজের সক্ষমতা নিয়ে দুশ্চিন্তা, সংশয় সৃষ্টি করে। ফলে মানুষ বর্তমানকে কাজে লাগাতে পারেনা বরং অতীত নয়তো ভবিষ্যতের ব্যর্থতার ভয়ে মুষড়ে থাকে। অথচ মনের শক্তি ব্যবহার করে মানুষ নিজেই অতীত আর ভবিষ্যতের দোলাচল থেকে মুক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মিত মেডিটেশন মনকে  বর্তমানে নিয়ে আসে, জীবনের চাওয়া নির্ধারণ এবং তা অর্জনে সফল ভূমিকা রাখে।এ পর্যায়ে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জীবনের চাওয়া সংক্রান্ত একটি এক্টিভিটি উপস্থিত সবাইকে উজ্জীবিত করে।

ওয়ার্কশপের পরবর্তী বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সরাসরি অংশ নেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ও ইনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক, বর্তমানে কানাডার টরন্টো ইউনিভারসিটিতে উচ্চতর গবেষণারত শ্রী সুমন ধর এবং আমেরিকার টেক্সাস থেকে তথ্য প্রযুক্তিবিদ মিসেস তানজিনা রহমান। সুমন ধর দান কিভাবে সাফল্যকে আকৃষ্ট করে বিষয়ে আলোচনায় দানের ধর্মীয় গুরুত্ব এবং ফল প্রাপ্তি তুলে ধরেন। মিসেস তানজিনা রহমান বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য লাভ ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এরপর মেডিটেশন সোসাইটির দশ বছরের পরিক্রমার ছোট একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন প্রথম দিন থেকে নিবেদিতপ্রাণ প্রোকোয়ান্টিয়ার মোঃ রকিবুর রহমান।     

অনুষ্ঠানের সবশেষ আলোচক ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ'র ভাইস প্রেসিডেণ্ট ডাঃ তাজিয়া সরদার। সাফল্য ও শুকরিয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সাফল্য লাভ এবং ধরে রাখায় শুকরিয়ার গুরুত্ব অশেষ। শুকরিয়া মানুষকে বিনয়ী করে, জীবন-যাপনে আনে পরিমিতি। একজন শোকর গোজার মানুষের বিশ্বাস যেকোন পরিস্থিতিতে অটল থাকে এবং তিনি যা আছে তাই নিয়েই শুরু করতে পারেন।

    শুধুমাত্র আলোচনা নয়, আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে বাংলাদেশে কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে অংশ গ্রহণকারীদের প্রত্যয়ন ভিডিও, এতিমান ফাণ্ড নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, দিনান্তে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি বর্ণনা এবং বিশেষ মেডিটেশন ওয়ার্কশপটিতে  ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। অনসাইট ও অনলাইনে অনুভূতি ব্যক্ত করেন যথাক্রমে মিসেস জাকিয়া সুলতানা এবং সেতারা বেগম। পরিশেষে সবাইকে শুকরিয়া এবং প্রতি শনিবার নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন সাদাকায়নে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ ইউসুফ ওয়ার্কশপের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।    

মন্তব্য লিখুন :