২০২০ সাল হোক সামাজিক যোগাযোগের বছর
কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়ন
-5e1d4b1e22bd7.jpg)
কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ'র জ্যামাইকাস্থ কার্যালয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ‘সাদাকায়ন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারী' শনিবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় শুরু হওয়া প্রোগ্রামের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির দায়িত্বশীল, লিড আইটি বিজনেস এ্যানালিষ্ট জনাব মোঃ রকিবুর রহমান। মেডিটেশন, মেডিটেশন সংক্রান্ত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনা দিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানে অনসাইট এবং অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আমেরিকার ৭টি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট ৬টি দেশ থেকে কোয়ান্টাম পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী, অংশগ্রহণ করেন।
এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আলোচক ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির দায়িত্বশীল এমদাদ উল্যাহ ভূঁইয়া। আলোচনার বিষয় ছিল "২০২০ সাল হোক সামাজিক যোগাযোগের বছর "। সবাইকে ইংরেজি নতুন বছর ২০২০ ও শুভ কোয়ান্টাম বর্ষ-২৮ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোচনার সূচনা পর্বে তিনি বলেন- ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে এবার আমরা খুব সুন্দর একটি সংখ্যা পেয়েছি। টুয়েনটি টুয়েনটি মানে ২০-এ ২০। আর যে ২৮তম বছর কোয়ান্টাম শুরু করতে যাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে এটি দাঁড়ায় ১। ১ মানে প্রথম, ১ মানে শীর্ষ।
আলোচক বলেন- আমরা চাই যেন এই বছরটি জ্ঞানে, গুণে ও অর্জনে শীর্ষে থাকতে পারি প্রত্যেকে। যখনই কোনো জাতি বা দেশে সমৃদ্ধি আসতে শুরু করে তখনই সেখানে সারা পৃথিবীর শোষকদের আগ্রাসন ও শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের মনোজাগতিক শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধির ওপরে এক নম্বর আগ্রাসন ভার্চুয়াল ভাইরাস। সোশ্যাল মিডিয়ার নামে ফেসবুক আমাদের ওপর আগ্রাসন শুরু করলো। একইসাথে ইন্টারনেট গেম, ইন্টারনেট জুয়া থেকে শুরুকরে এই ভার্চুয়াল জগতের সব আগ্রাসন একে একে আগ্রাসী হয়ে চড়াও হতে শুরু করলো।
মানুষকে যদি আসক্ত করে রাখা যায়-সে মাদকাসক্ত হোক, জুয়া আসক্ত হোক ভার্চুয়াল আসক্ত হোক; তাহলে তাকে দাস বানানোটা সহজ হবে। সে তার ভালো-মন্দ বুঝতে পারবে না। সে নিঃসঙ্গ একা অসহিষ্ণু এবং নিষ্ঠূর একটা মানুষে রূপান্তরিত হবে। এ কাজটি তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়া খুব দক্ষতার সাথে করছে। সম্প্রদায়িক দাঙা, সামাজিক বুনন নষ্ট করে হানাহানি, অশ্লীলতা সৃষ্টি করাই এই বায়ুবীয় মিডিয়ার মূল কাজ। ২০০৯ সালে যখন আমাদের দেশে সবে আসতে শুরু করেছে ফেসবুক আইডি খোলার চল, তখন থেকেই কোয়ান্টাম দৃঢ়তার সাথে বলেছে, এর মাঝে যাবেন না। এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের কোনো ভিত্তি নেই, এই সোশ্যাল মিডিয়া হবে একটা গজব। আজকে দেখুন, ১০ বছর পরে তা-ই আমরা দেখছি। আমাদের সমাজে যত অনাচার, যত পারিবারিক অশান্তি এর পেছনে এই সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুক। তাই সুখী জীবনের পথে এগুতে হলে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে ফেসবুক মুক্ত থাকা।
বিশ্বায়নের ফলে এই মুহুর্তে পৃথিবীর গহীন প্রান্তের আপডেটেড সব খবর হাতের মুঠোয়। কিন্তু পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী রোগ-শোক-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ধুকে ধুকে যে বেঁচে আছে, সেই সব খবরটা অনেকের কাছেই অজানা। বিচ্ছিন্নতার রূপ এতটাই ভয়াবহ ! যোগাযোগের জন্যে প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রন করার বদলে, প্রযুক্তি আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করছে। চুলার আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে থাকে তখন তা দিয়ে রান্না হয়। কিন্তু সেই যখন কোনো ভাবে কিংবা গ্যাস বিস্ফোরণের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়,তখন রান্নাকারীই জ্বলে অঙ্গার হয়ে যান। বর্তমান সময়ে বাবা-ছেলের সম্পর্কও হয়ে উঠছে ম্যাসেজ নির্ভর। পাশের রুমে থাকা বাবাকে ছেলে মেসেজ পাঠায় যে, আজ বাবা দিবস। ইউ আর এ গ্রেট বাবা। বাবাও ফেসবুকে মেসেজের রিপ্লাই দেন, তুমিও গ্রেট সান। পাশের রুমে বসে মেসেজ পাঠাচ্ছো।বাবার কাছে এসে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বলতে পারছনা। এটাকে কি যোগাযোগ বলে? না তো! এতো পালিয়ে বেড়ানো। এই ফেসবুক আসক্তি তরুণদের করেছে মেধাশূন্য, অমনোযোগী, একাকী, বিধ্বস্ত, বিকৃত মানসিক রোগীতে। আসলে ফেসবুক একটি ফেকবুক ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং এই ফেসবুক ডিলিট করার মধ্য দিয়েই আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাব ২০২০ সালে ২০-এ ২০ অর্জনের পথে।
মানুষে মানুষে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে আলোচক বলেন- আমরা সুযোগ পেলেই আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাবো পরিবারের সবাইকে নিয়ে। নিয়মিত সাদাকায়নে আসবো। এতে আমাদের সত্যিকারের সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। নিজে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করবো। অন্যকেও ধ্যানী হতে সাহায্য করবো। একজন ধ্যানী মানে কি? যিনি অন্যের জন্যে নিরাপদ। যিনি নিজের এবং অন্যের কল্যাণ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না। যার হৃদয় ভরা মমতা ও প্রশান্তি। সন্তানকেও সাদাকায়নে নিয়ে আসুন। সে শুধু ধ্যান করবে না এখানে এসে। তাকে সংঘের সেবা মূলক কাজে সম্পৃক্ত করুন। এই করতে করতে সে যেমন হবে স্বাবলম্ব^ী, হবে বিনয়ী, ভালো মানুষ, হবে সত্যিকারের সামাজিক। যন্ত্রের সামনে মুখ গুঁজে বসে সে রোবট হবে না। দানব হবে না বরং সুন্দর মানব হতে শিখবে। ২৭ বছর আগে কোয়ান্টাম যেভাবে নতুন ভাবনা, নতুন চিন্তা নিয়ে এসেছিল দেশবাসীর সামনে যে, আসুন ধ্যানী হোন, জ্ঞানী হোন; সুস্থ হবেন, সফল হবে। ২৮ তম বছরেও আমরা এই বাণী নিয়ে এগিয়ে যাবো যেন নিজের ও অন্যের এবং দেশের সত্যিকার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আনতে পারি।
কোয়ান্টামের ২৮তম বছর , ২০২০ সালকে ঘোষনা করেছে সামাজিক যোগাযোগের বছর হিসেবে। তাই সবার সঙ্গে আমরা সরাসরি, বাস্তব যোগাযোগ করবো। তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নয়, যোগাযোগ বাড়াবো সামাজিক ভাবে। বাস্তব সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে ভার্চুয়াল ভাইরাসের অভিশাপ থেকে মুক্ত হোন। চারপাশে ৪০ ঘরে যোগাযোগ বাড়ান। সন্তানকে ভালো ছাত্র বানানোর পাশাপাশি ভালো মানুষ বানাতে উদ্বুদ্ধ করুন। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আপনি হোন ভালো মানুষের প্রতীক। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন। আলোচনা শেষে বর্ষায়ন উপলক্ষে শুরু হয় মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিবেশন করা হয় গান, কবিতা ও সমাজ সচেতনামূলক নাটিকা। অনলাইন অনসাইট মিলে অনেকে এতে অংশ গ্রহণ করেন। চটপটি ও খেজুরের কেক দিয়ে আপ্যায়নের মাধ্যমে এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
২০২০ সাল হোক সামাজিক যোগাযোগের বছর
কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়ন
নিজস্ব প্রতিনিধি-
কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি, ইউএসএ'র জ্যামাইকাস্থ কার্যালয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ‘সাদাকায়ন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জানুয়ারী' শনিবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় শুরু হওয়া প্রোগ্রামের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির দায়িত্বশীল, লিড আইটি বিজনেস এ্যানালিষ্ট জনাব মোঃ রকিবুর রহমান। মেডিটেশন, মেডিটেশন সংক্রান্ত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনা দিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানে অনসাইট এবং অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আমেরিকার ৭টি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট ৬টি দেশ থেকে কোয়ান্টাম পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী, অংশগ্রহণ করেন।
এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আলোচক ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির দায়িত্বশীল এমদাদ উল্যাহ ভূঁইয়া। আলোচনার বিষয় ছিল "২০২০ সাল হোক সামাজিক যোগাযোগের বছর "। সবাইকে ইংরেজি নতুন বছর ২০২০ ও শুভ কোয়ান্টাম বর্ষ-২৮ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোচনার সূচনা পর্বে তিনি বলেন- ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে এবার আমরা খুব সুন্দর একটি সংখ্যা পেয়েছি। টুয়েনটি টুয়েনটি মানে ২০-এ ২০। আর যে ২৮তম বছর কোয়ান্টাম শুরু করতে যাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে এটি দাঁড়ায় ১। ১ মানে প্রথম, ১ মানে শীর্ষ।
আলোচক বলেন- আমরা চাই যেন এই বছরটি জ্ঞানে, গুণে ও অর্জনে শীর্ষে থাকতে পারি প্রত্যেকে। যখনই কোনো জাতি বা দেশে সমৃদ্ধি আসতে শুরু করে তখনই সেখানে সারা পৃথিবীর শোষকদের আগ্রাসন ও শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের মনোজাগতিক শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধির ওপরে এক নম্বর আগ্রাসন ভার্চুয়াল ভাইরাস। সোশ্যাল মিডিয়ার নামে ফেসবুক আমাদের ওপর আগ্রাসন শুরু করলো। একইসাথে ইন্টারনেট গেম, ইন্টারনেট জুয়া থেকে শুরুকরে এই ভার্চুয়াল জগতের সব আগ্রাসন একে একে আগ্রাসী হয়ে চড়াও হতে শুরু করলো।
মানুষকে যদি আসক্ত করে রাখা যায়-সে মাদকাসক্ত হোক, জুয়া আসক্ত হোক ভার্চুয়াল আসক্ত হোক; তাহলে তাকে দাস বানানোটা সহজ হবে। সে তার ভালো-মন্দ বুঝতে পারবে না। সে নিঃসঙ্গ একা অসহিষ্ণু এবং নিষ্ঠূর একটা মানুষে রূপান্তরিত হবে। এ কাজটি তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়া খুব দক্ষতার সাথে করছে। সম্প্রদায়িক দাঙা, সামাজিক বুনন নষ্ট করে হানাহানি, অশ্লীলতা সৃষ্টি করাই এই বায়ুবীয় মিডিয়ার মূল কাজ। ২০০৯ সালে যখন আমাদের দেশে সবে আসতে শুরু করেছে ফেসবুক আইডি খোলার চল, তখন থেকেই কোয়ান্টাম দৃঢ়তার সাথে বলেছে, এর মাঝে যাবেন না। এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের কোনো ভিত্তি নেই, এই সোশ্যাল মিডিয়া হবে একটা গজব। আজকে দেখুন, ১০ বছর পরে তা-ই আমরা দেখছি। আমাদের সমাজে যত অনাচার, যত পারিবারিক অশান্তি এর পেছনে এই সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুক। তাই সুখী জীবনের পথে এগুতে হলে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে ফেসবুক মুক্ত থাকা।
বিশ্বায়নের ফলে এই মুহুর্তে পৃথিবীর গহীন প্রান্তের আপডেটেড সব খবর হাতের মুঠোয়। কিন্তু পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী রোগ-শোক-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ধুকে ধুকে যে বেঁচে আছে, সেই সব খবরটা অনেকের কাছেই অজানা। বিচ্ছিন্নতার রূপ এতটাই ভয়াবহ ! যোগাযোগের জন্যে প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রন করার বদলে, প্রযুক্তি আমাদেরকে নিয়ন্ত্রন করছে। চুলার আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে থাকে তখন তা দিয়ে রান্না হয়। কিন্তু সেই যখন কোনো ভাবে কিংবা গ্যাস বিস্ফোরণের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়,তখন রান্নাকারীই জ্বলে অঙ্গার হয়ে যান। বর্তমান সময়ে বাবা-ছেলের সম্পর্কও হয়ে উঠছে ম্যাসেজ নির্ভর। পাশের রুমে থাকা বাবাকে ছেলে মেসেজ পাঠায় যে, আজ বাবা দিবস। ইউ আর এ গ্রেট বাবা। বাবাও ফেসবুকে মেসেজের রিপ্লাই দেন, তুমিও গ্রেট সান। পাশের রুমে বসে মেসেজ পাঠাচ্ছো।বাবার কাছে এসে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বলতে পারছনা। এটাকে কি যোগাযোগ বলে? না তো! এতো পালিয়ে বেড়ানো। এই ফেসবুক আসক্তি তরুণদের করেছে মেধাশূন্য, অমনোযোগী, একাকী, বিধ্বস্ত, বিকৃত মানসিক রোগীতে। আসলে ফেসবুক একটি ফেকবুক ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং এই ফেসবুক ডিলিট করার মধ্য দিয়েই আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাব ২০২০ সালে ২০-এ ২০ অর্জনের পথে।
মানুষে মানুষে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে আলোচক বলেন- আমরা সুযোগ পেলেই আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাবো পরিবারের সবাইকে নিয়ে। নিয়মিত সাদাকায়নে আসবো। এতে আমাদের সত্যিকারের সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। নিজে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করবো। অন্যকেও ধ্যানী হতে সাহায্য করবো। একজন ধ্যানী মানে কি? যিনি অন্যের জন্যে নিরাপদ। যিনি নিজের এবং অন্যের কল্যাণ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না। যার হৃদয় ভরা মমতা ও প্রশান্তি। সন্তানকেও সাদাকায়নে নিয়ে আসুন। সে শুধু ধ্যান করবে না এখানে এসে। তাকে সংঘের সেবা মূলক কাজে সম্পৃক্ত করুন। এই করতে করতে সে যেমন হবে স্বাবলম্ব^ী, হবে বিনয়ী, ভালো মানুষ, হবে সত্যিকারের সামাজিক। যন্ত্রের সামনে মুখ গুঁজে বসে সে রোবট হবে না। দানব হবে না বরং সুন্দর মানব হতে শিখবে। ২৭ বছর আগে কোয়ান্টাম যেভাবে নতুন ভাবনা, নতুন চিন্তা নিয়ে এসেছিল দেশবাসীর সামনে যে, আসুন ধ্যানী হোন, জ্ঞানী হোন; সুস্থ হবেন, সফল হবে। ২৮ তম বছরেও আমরা এই বাণী নিয়ে এগিয়ে যাবো যেন নিজের ও অন্যের এবং দেশের সত্যিকার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আনতে পারি।
কোয়ান্টামের ২৮তম বছর , ২০২০ সালকে ঘোষনা করেছে সামাজিক যোগাযোগের বছর হিসেবে। তাই সবার সঙ্গে আমরা সরাসরি, বাস্তব যোগাযোগ করবো। তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নয়, যোগাযোগ বাড়াবো সামাজিক ভাবে। বাস্তব সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে ভার্চুয়াল ভাইরাসের অভিশাপ থেকে মুক্ত হোন। চারপাশে ৪০ ঘরে যোগাযোগ বাড়ান। সন্তানকে ভালো ছাত্র বানানোর পাশাপাশি ভালো মানুষ বানাতে উদ্বুদ্ধ করুন। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আপনি হোন ভালো মানুষের প্রতীক। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন। আলোচনা শেষে বর্ষায়ন উপলক্ষে শুরু হয় মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিবেশন করা হয় গান, কবিতা ও সমাজ সচেতনামূলক নাটিকা। অনলাইন অনসাইট মিলে অনেকে এতে অংশ গ্রহণ করেন। চটপটি ও খেজুরের কেক দিয়ে আপ্যায়নের মাধ্যমে এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।