সেনবাগের কুতুবের হাট-লেমুয়া সড়কের বেহাল অবস্থা

দুই দফায় টেন্ডার বাতিল !

একদিকে খানাখন্দকে ভরা অপরদিকে কাদামুক্ত ফসলী জমির মাঠের মতো। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছমির মুন্সির হাট বাজার থেকে উত্তরাঞ্চল দিলদার মার্কেট-ছিলোনিয়া ও কেশারপাড়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এলজিইডি’র আওয়াতাধীন সাড়ে ৪ কিলোমিটার লেমুয়া কুতুবেরহাট সড়কের এমন বেহাল অবস্থা। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আর সীমাহীন দূভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে যাতায়তকারী যাত্রীদের। এদিকে এলজিইডি থেকে বলা হচ্ছে ঠিকাদারদের অনাগ্রহ এবং অতিমূল্য ধার্য্যের কারণে দুই দফায় টেন্ডার বাতিল করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে কার্পেটিং করা হলেও পরবর্তীতে সড়কটির আর কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি। কার্পেটিং ওঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রী সাধারণের সীমাহীন দুভোর্গে শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একই কারণে সড়কের পাশের বাজরগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কেনাবেচাতে নেমে এসেছে স্থাবিরতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  ছমির মুন্সির হাট , দিলদার মার্কেট, ছিলোনিয়া, ইদিলপুর, মজুর দোকান, ক্লাবঘর, দমদমা বাজার ও কেশারপাড় রাস্তার মাথা মুন্সির দোকান পর্যন্ত রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে পুরো রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দকের।
স্থানীয়দের মতে- সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে যায় হাটু পানি সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধাতা। এতে ওই জমে থাকা পানির নিছে সৃষ্ট গর্তে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।  অথচ সড়কটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ- এলজিইডি’র পক্ষ থেকে সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।
যোগাযোগ করা হলে সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলী দিবাকর রায়- সড়কটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বলেন- দুই দফায় সড়কটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়। প্রথম দফায় কেউ টেন্ডারে অংশ না নেওয়ায় ওই টেন্ডাটি বাতিল হয়। দ্বিতীয় দফায় আবারো টেন্ডার আহবান করা হলে ঠিকাদারা ৩৫ শতাংশ  অতিরিক্ত মূল্যে দরপত্র দাখিল করে। তাই এই দফায়ও টেন্ডটি বাতিল হয়। আগামী অর্থ বছরে সড়কটির সংস্কারের কাজ করার জন্য পুনরায় টেন্ডার আহবান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগ্রই সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে।


মন্তব্য লিখুন :