হাতিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়ীবাঁধ মেরামত

প্রতিবছর বর্ষায় প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায় বেড়ীবাঁধ। পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয় ফসলের, ক্ষতি হয় রাস্তাঘাট আর বসত বাড়ির। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে ভাঙ্গা বেড়ী মেরামত করতে করতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায় আরো কয়েকগুন। তারওপর বেড়ী মেরামতের নয়ছয় তো সবার জানা। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াবাসী এসব দেখতে দেখতে অভ্যস্ত। তাই ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে দ্বীপবাসী নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে নেমে আসে ভাঙ্গা বেড়ী মেরামতসহ নান প্রতিকূলতা মোকাবেলায়। এবারো ব্যাতিক্রময় হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের আহবানে সাড়া দিয়ে মানুষ গত ক’দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গা বেড়ী মেরামত করছে।
সরেজমিনে ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিনে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে হাতিয়ার তমরদ্দি, চরঈশ্বর, জাহাজমারা ইউনিয়নের লোনা বেড়ীবাঁধ ছিঁড়ে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তাৎক্ষণিক কোন বরাদ্দ না থাকায় সরকারিভাবে এ বেড়ীবাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ-আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তমরদ্দি, চরঈশ্বর ও জাহাজমারা ইউনিয়নের এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভাঙ্গনকৃত বেড়ীবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় জনগণকে বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসার অনুরোধ করলে তাতে সাড়া দেন কয়েকশ’ এলাকাবাসী।
এ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েকশ’ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বেড়ীবাঁধ মেরামতের কাজে লেগে পড়েন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম, তমরদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান ফররুক আহমেদসহ অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম জানান, ছোটখাটো এসব ভাঙ্গন তাৎক্ষণিক মেরামত করা না হলে পরে আরো বড় আকারে ভাঙ্গন দেখা দেয়। তখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বেড়ে যায়। নিজেদের জানমালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে স্থানীয় জনগণ সাড়া দেওয়ায় তিনি এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।