চৌমুহনীতে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২৬ প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

নোয়াখালীর করোনা সংক্রমণের হটস্পট খ্যাত জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনীতে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করায় ২৬ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় ভাগে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনামিকা নজরুল, মো. রোকনুজ্জামান খান, এম সাইফুল্লাহ্, মো. রুহুল আমিন, ইমামুল হাফিজ নাদিম ও আসাদুজ্জামান রনি। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচানায় সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুল কাদের সজীব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া, র্যাব ১১ লক্ষীপুরের কোম্পানী কমান্ডার আবু সালেহ, ব্যাটেলিয়ান আনসার ও জেলা পুলিশ।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়ত জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী। দিন দিন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও চৌমুহনীর দোকানীরা মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে না এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ ছাড়াই ব্যবসায় পরিচালনা করছেন। যার কারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে চৌমুহনীতে ৬টি গ্রুপে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
আদালত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী মোট ২৬টি মামলায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে গ্রীন পাওয়ার মিলকে ১৫ হাজার, আজমীর ফ্লাওয়ার মিলকে ২ হাজার, মিল স্টোরসকে ৩ হাজার, খান ইলেক্ট্রিককে ৫ হাজার, ভাই ভাই স্টোরকে ১ হাজার, খাজা ভান্ডারকে ২০ হাজার, খুরশিদ আলম ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, খাদ্য ভান্ডারকে ৫ হাজার, ভাই ভাই স্টোরকে ৫ হাজার, ঢাকা স্টোরকে ১০ হাজার, নিউ জিএস গ্যালারীকে ৭ হাজার, হাজী ক্লথ স্টোরকে ৫ হাজার, শাহ আলম ক্লথ স্টোরকে ৩ হাজার, ফয়সাল ওয়ান টাইমকে ৭ হাজার, মর্ডান স্টোরকে ১০ হাজার, এবি ফ্যাশনকে ৬ হাজার, ফ্যাশন ওয়েবকে ৫ হাজার, সুমাইয়া সুজকে ৮ হাজার, মনোয়ারা ট্রেডার্সকে ২০ হাজার, নাসির এন্ড ব্রাদার্সকে ১০ হাজার, আজমির ট্রেডার্সকে ২০ হাজার, সুনিল স্টোরকে ২০ হাজার, মিরাজ এন্টার প্রাইজকে ২০ হাজার, দেলোয়ার ব্রাদার্সকে ২০ হাজার, আহাদ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, এবং নিউ বস্ত্র বিতানকে ১৫ হাজারসহ সর্বমোট ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।