হাতিয়ায় বরযাত্রী ট্রলারডুবি নববধুসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার

কনে নিয়ে বাড়ী ফেরার সময় বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলাবার বিকালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ডালচরের সন্নিকটে মেঘনা নদীতে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। হতভাগ্য নববধুসহ ৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করা হলেও  নিখোঁজ ব্যাক্তিদের উদ্ধারে নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

নিহতাদের পারিবারিক সূত্র, নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, উদ্ধার হওয়া সাত মৃতদেহের মধ্যে নববধু তাছলিমাসহ তিন নারী ও ৩শিশু রয়েছে । তাছলিমা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের থানার হাট এলাকার ইব্রাহীম সওদাগরের মেয়ে। 

নিহত অন্যরা হচ্ছেন- হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নের মোহম্মদপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে আসমা বেগম (১৯), সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার লামিয়া (২), একই এলাকার আলমগির হোসেনের মেয়ে লিলি আক্তার( ৮), হাতিয়ার নলেরচরের কালাদুর গ্রামের ফয়জ্জুল্লার মেয়ে হোসনে আরা বেগম (৫), চানন্দী ইউনিয়নের পূর্ব আজিম নগর গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০), একই এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী নুরজাহান (৬৫)।

মঙ্গলবার বিকালে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে বরের বাড়ী ঢালচরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি ঢালচরের কাচাকাছি এলে প্রবল ¯্রােতে নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এসময় ট্রলারের মধ্যে নারী পুরুষ শিশু সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ছিল বলে জানানযায়। নিমজ্জিত হওয়ার পর বর ফরিদ উদ্দিনসহ অনেকে সাঁতরে ও অন্য ট্রলারের সহযোগীতায় তীরে উঠতে সক্ষম  হলেও শিশুসহ অনেক নারী নিখোঁজ রয়েছে।

নিহত গৃহবধুর পিতা পিতা ইব্রাহীম সওদাগর জানায়, হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মেস্তুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের সাথে তাঁর মেয়ে তাছলিমার বিবাহ হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বরের বাড়ীতে নেওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

দূর্ঘটনার পরপরই হাতিয়ার নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নামে । দূর্ঘটনাকবলিত ট্রালারটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলো উদ্ধারের পর হাতিয়ার টাংকির ঘাটে রাখা হলে মেঘনা পাড়ে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। তবে; সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধার অভিযান কিছুটা থেমে যায়। এপ্রসঙ্গে- নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্লাহ বলেন রাত নেমে আসায় উদ্ধার অভিযান এখন বন্ধ রেখে বুধবার সকালে আবার শুরু করা হয়েছে। 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন বলেন, নিহত ৭জনের পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্বান্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো মৃতদেহ পাওয়া গেলে তাদেরকেও অনুরূপ ভাবে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

চানন্দী ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রহিম জানান, রাতেই তাদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


মন্তব্য লিখুন :