নোয়াখালীতে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে তালা

অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ উপেক্ষা করায় নোয়াখালীতে “ইসলামী হসপিটাল” নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তালা দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ক্লিনিকটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে সোমবার (৩০ নভেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড ও দুইজনকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযান চলাকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. সৌরভ ও র‌্যাব-১১ এর একটি দল। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, একরামুল মুমিনিন ও শিব্বির আহমেদ।

এদিকে অভিযানের পর সোমবারই বন্ধ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় অভিযান চলাকালে ডিউিটি ডাক্তার না থাকা, ডিপ্লোমা নার্স না থাকা, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, পরিবেশ সনদ, নাইকোটিকস সনদ ও ফ্রিজে তাপমাত্রা মিটার না থাকা এবং হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা সন্তোষজন ছিলোনা। লাইসেন্স ব্যাতীত হাসপাতাল পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়- রজিস্ট্রেশন, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায়, জনবল সংকট, পরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ১০শয্যা বিশিষ্ট ইসলামীয়া হসপিটাল নোয়াখালীর মালিক পক্ষের একরামুল মুমিনিন ও শিব্বির আহমেদকে আটক করা হয়। এসময় হসপিটালটির ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় পুলক নন্দি নামের একজনকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। পরে আটককৃত দুইজনের মধ্যে একরামুল মুমিনিনকে দুই মাস ও শিব্বির আহমেদকে আড়াই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালটির মালিক পক্ষের দুইজনকে কারাদণ্ড ও ফামের্সী পরিচালনাকারী একজনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একইসাথে ওই হাসপাতলকে সর্তক করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মোঃ সৌরভ সাংবাদিকদের জানান- অনুমোদন না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ রাখা এবং প্রয়োজনী প্রকৃয়া অনুসরনের জন্য মালিক পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা হাসপাতালটি চালু রাখায় তালা মেরে সিলগালা করা হয়েছে।


মন্তব্য লিখুন :